শুধু অনলাইনে পড়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়া সম্ভব?
✅আনসার হচ্ছে তুমি ডেডিকেটেডলি প্রিপারেশন নাও তাহলে অনলাইন আর অফলাইন ম্যাটার করে না।কোচিং এ স্যাররা তোমাকে গাইড করবেন কীভাবে কি পড়তে হবে। আল্টিমেটলি পড়াটা কিন্ত তোমাকেই শেষ করতে হবে। এবার আসি অনলাইন প্রিপারেশন নিয়ে। যেহেতু আমার প্রিপারেশন পুরোপুরি অনলাইন বেসড ছিলো তাই আমি আজকে তোমাদের অনলাইন প্রিপারেশন এর কয়েকটি সুবিধা নিয়ে আলোচনা করছি:
১.টাইম মেনেজমেন্ট:অনলাইনে রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন ক্লাস করতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ে। এক্ষেত্রে আমার যেটা সুবিধা মনে হয়, যাতায়াতের সময়টা সেভ হয়।পুরোটা সময় কোনে রকম ডিস্টার্বেন্স ছাড়া ক্লাস করা যায়। এছাড়াও ক্লাসের সময় মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।
২.এক্সাম সিস্টেম :আমার মনে হয় আমি যে পরিমাণ এক্সাম অনলাইনে দিয়েছি তা অফলাইনে কোনো কোচিং এ হয়ত দেওয়া সম্ভব ছিলো না।ডেইলি একসাম,উইকলি এক্সাম,monthly এক্সাম,বিগত বছরের প্রশ্নের উপর এক্সাম,বিসিএস কোয়েশ্চেন এর উপর এক্সাম ইত্যাদি।এছাড়াও সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে কোনো চাপ্টার পড়ে শেষ করার পর ওই চাপ্টার এর বারবার এক্সাম দেওয়া এবং প্রতিবার-ই কোয়েশ্চেন চেন্জ হওয়ার ব্যাপারটা।
৩.লাইভ/রেকর্ডেড ক্লাস: রেকর্ডেড ক্লাস এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কিছু না বুঝলে সেটা নিজের ইচ্ছামতো বারবার রিপিট করা যায়। ভিডিও pause করে সাথে সাথে নোট করা যায়, বই দাগিয়ে নেওয়া যায়। এছাড়াও ক্লাসগুলো সেভ থাকায় নিজের সুবিধামতো করা যায়। ক্লাস মিস হওয়ার ভয় থাকেনা।
৪.জিকেই : অনলাইনে যেভাবে প্রতিটা প্রশ্ন ধরে ধরে এক্সপ্লেইন করে দেওয়া হয়, যেটা আমার মতে অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, যা অফলাইনে হয়ত একজন শিক্ষক চাইলেও শেষ করা সম্ভব না।
৫.অনুশীলনি প্রশ্ন সলভ: কোনো অফলাইন কোচিং এ অনুশীলনির প্রতিটি প্রশ্ন লাইন বাই লাইন ধরে ধরে সলভ করে দেওয়া হয় কিনা আমার ঠিক জানা নেই।তবে অনলাইনে যেমন প্রতিটি প্রশ্ন সলভ করে দেওয়া হয় তেমনি কীভাবে সহজে আনসার করতে হয় তাও শিখিয়ে দেওয়া হয়।
৬.ইংরেজি ক্লাস: মেডিকেলের ইংরেজি সিলেবাস যেহেতু একটু ভিন্ন সেহেতু অনেকেই মনে করে আমার তো বেসিক ভালো না আমি হয়ত পারবো না।সেক্ষেত্রে অনলাইনে এমনভাবে প্রতিটা টপিক ধরে ধরে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এমনকি মুখস্ত অংশটুকু পড়িয়ে দেওয়া হয়। যেটা আমার ক্ষেত্রে খুবই হেল্পফুল ছিলো।
©তাসফিয়া রাদিয়াহ